আমায় স্পর্শ করে সকালের রোদ্দুর
কিম্বা পূর্ণিমার জোৎস্না
অথবা উড়ে আসা ধূলো
নিদেন পক্ষে আমার পায়ের চটিজোড়া
যাদের কারোর প্রতি আমার স্পর্শকাতরতা নেই!
কবিতা তোমায়
কবিতা, তুমি আমার বুকে রক্ত ঝরাও,
চুপচুপে ভেজা অক্ষরগুলো সার দিয়ে দাঁড়ায়;
সেলফোনে আঙ্গুলের গতি আরো দ্রুত হয়,
কবিতা তুমি আমাকে বড্ড কাঁদাও।
মরণোত্তর
চোখ দুটো ছাড়া কিছু দেওয়ার ছিলো না।
প্রিয়জন চলে গেলো , সময় দিলোনা।
ক্যানসার ছড়িয়েছে বিষ নিঃসাড়ে,
কেমো আর কতদিন আগলাতে পারে,
জীবন ধাঁধা
টুকরো টুকরো স্মৃতি দিয়ে আঁকা
জীবনের জলছবি,
ক্রমে ক্রমে সে যে পূর্ণতা পায়
জোড়া লেগে যায় সবই।
আঠাশে এপ্রিল
এই দিনটা এখনো কেন মনে আছে যেন,
ভর সন্ধ্যেতে বসে মনে মনে তাই
খানিকটা সাল-তামামি করছিলাম,
ঘুরে ফিরে কয়েকটা কথাই খালি
ভালোবাসা
কত বৃষ্টিভেজা পথ,
হেঁটে গেছি আমরা একসাথে।
নিতাম না কোনো বর্ষাতি।
বৃষ্টি নামার মুহুর্তে
আলো দিতে গিয়ে যে জ্বলে গেলো…
সুইচ বোর্ডের পাকদন্ডী বেয়ে
পাখা আর টিউবলাইটে ভর করে তোর আত্মা নেমে আসে।
আয়নায় আমার পেছনে দাঁড়িয়ে
দেখে আমাদের বিয়ে হলে কেমন দেখাতো।
ফিরো ব্যস্ততার শেষে
শুধুই দেয়ার জন্য পুণ্যলগ্নে এই প্রবেশ, কেবলই স্থবিরতার
স্পর্সস্বরে নিজেকে জড়ানো, ভয় চেপে রেখে ভয়ের প্রতীক্ষা করা
কবিতা
কবিতা আমার কাছে ছিন্নভিন্ন প্রেমের অবশেষ
যেটুকু শব্দ থাকে জোড়া অক্ষরে বিন্যাসে, সব
পতিতালয়ের মত স্নিগ্ধ ও রোজগেরে