-কয়েকবার টুকটাক ঘটনা হয়েছে, আমি সব বলছি।তাছাড়া উনি যথেষ্ট শান্ত প্রকৃতির মানুষ।এমনকি ওর অফিসের স্টাফেরাও খুব নাম করত।আমাকে বলত, ‘বৌদি আপনি প্রতীকদাকে কি খাওয়ান? কোন রাগ নেই। যা বলি হেসে উড়িয়ে দেয়।’
কাপ ডিশ ও ভাঙা সকাল (প্রথম পর্ব)
এই চন্দনা কোথায় আছো? এদিকে তাড়াতাড়ি আরো দুকাপ চা দিয়ে যাও।
ভিতর থেকে আওয়াজ এল, ‘আমি তো একটু আগেই দু’কাপ চা দিয়ে এলাম।‘
–তুমি দেখলে না সুমনা এলো।সুমনাকে মনে আছে?
দুর্বিপাকের ২০২০
শীত প্রায় চলে যাবে যাবে ভাবছে এই সময় বসন্ত এসে গেল একঝাঁক আনন্দ নিয়ে। খুব ভালো লাগছে এখন, শীতের দাপট আর যেন ভালো লাগছিল না। Massachusetts এর একটি শহর Shrewsbury যেখানে আমরা থাকি।
অনু পরিবার
চিৎকার করে পড়ছিল না বলে তিতিকে তিতির মা বকছিল | তারপর যেই একটু চুপ করে থেকে, তিতি আবার জোরে জোরে পড়তে শুরু করলো, অমনি বীথি চায়ের জল বসাতে চলে গেল |
রজত
পুজোর আগে ক্লাবগুলি জমে যেত । বাজেট , থিম প্যান্ডেল , আর সেক্রেটারি কে হবে – এই নিয়েই যাবতীয় দ্বন্দ্ব ।
বহু বছর ধরে রজত সেক্রেটারি হতে চাইছে । গুলবাজ হিসেবে সে অদ্বিতীয় ।
বর্ষাভিসার (অনুগল্প)
রীনা,
আগের চিঠিতে তুমি জানতে চেয়েছ, এখানে বর্ষা এসেছে কিনা । হ্যাঁ, রাশি রাশি মেঘে ভেলায় বর্ষা আমার আঙিনায় সমাতীর্ণ ।
ফাঁসির পরে
–” উঃ কষ্ট। ফাঁসির দড়িটা যখন গলায় চেপে বসল জিভটা আপনা থেকেই বেরিয়ে এলো। যন্ত্রণায় চিৎকার করে উঠতে গেলাম–
–” মা মাগো খুব কষ্ট । ” না মা এগিয়ে এলো না ঠিক আগের মতো।
মায়ের জন্মদিন
কাপ ডিশগুলো ধুয়ে রাখতে গিয়ে মনে পড়ল আজ আমার মায়ের জন্মদিন | মা কোনদিন এইসব দিনগুলোকে অনেক লোক ডাকার উপলক্ষ্য হয়ে উঠতে দিতো না |
একটা ইচ্ছা, দুটো মৃত্যু আর কিছু খুচরো স্বপ্ন (তৃতীয় ও অন্তিম পর্ব)
এর পরের দুদিন রাখী আর স্কুলে গেল না। সারাদিন বাড়িতে রইল দুটি নির্বাক প্রাণী আর মীরা রোডের তিন তালার দু কামরার ফ্ল্যাট ঢেকে রইল উনুনের ধোঁয়ায় নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসার মত একটা অস্বস্তি আর গাঢ় নৈঃশব্দে।
একটা ইচ্ছা, দুটো মৃত্যু আর কিছু খুচরো স্বপ্ন (দ্বিতীয় পর্ব)
মুম্বাইতে উমেশ ভাটের মত বড় মাপের প্রযোজকের ব্যানারেও বানীর হিন্দী ছবি একদম চলল না। খুব ঝড়তি দু একটা ফিল্ম ফেস্টিভেলে গেলেও কোন বড়সড় আঁচর ওই ছবি জনমানসে বা চিত্র সমালোচকদের হৃদয়ে কাটতে পারল না।