ঝুলছি এখনো আমি, যদিও প্রয়োজনে নেই আর,
হাওয়ার দমক থেকে থেকে এসে দোলায় আমার ঝাড়।
এলোমেলো দিন
যত্নে রেখেছি সুখের চাবিকাঠি
লুকোনো স্মৃতির জং ধরা তালাটি
ইচ্ছে হলেই তলিয়ে যাওয়া টুক
ডুব সাঁতারে ভালোলাগা এক বুক।
যোজনগন্ধা ৩
আমি তোমাকে ঘেন্না করি
এই বলে ঘেন্নার ঘ্রাণ নিয়ে
অরণ্য গভীরে চলেগেল যোজনগন্ধা,
আমি আজও কস্তুরি গন্ধে মেতে উঠি।
যোজনগন্ধা ২
এই কি সেই ছাতিম গাছ ?
এরই নিচে তোমার আমার প্রথম সাক্ষাৎ
ছাতিমের উগ্রতা আমাদের পছন্দ নয়
তাই দূরে সরে এসে খেজুর গাছের তলায়
তোমার কস্তুরি ঘ্রাণ
আর মিহি ছাতিমের গন্ধ
কল্পান্ত
নিজের ক্রমাগত ব্যর্থ জীবনের
বিবরণী একটা বড় কাগজে
সবিস্তারে লিখে
পঁচিশতলার জানালা দিয়ে ছেড়ে দিই –
কুটিকুটি করে,
দানব দানবীরা
আকাশবাড়িদের মধ্যে হাঁটবার সময়
আধো অন্ধকার। আধো বনেদী আলোয় জাগে
মহার্ঘ্য রোমক শৌধমালা –
আঁধারাতে মাথা নাড়ে বাক্সবাদাম গাছ
যোজনগন্ধা ১
অরণ্য পথে হাঁটতে হাঁটতে
আমি যখন এক একটা গাছের
গল্প বলছিলাম তোমাকে
তুমি তখন শিশিরসিক্ত বীজ
কুড়িয়ে রাখছিলে আঁচলে ।
বলেছিলে নদী ঋতুমতী হলে
বীজ বপন করবে তুমি ।
কবিতা ২
অনেক ভেবেও এক পংক্তি কবিতা সেই আগের মত হুড়মুড় করে মাথায় এল না;
অনেক ভেবেও নিজেকে আর আগের মত উড়িয়ে দিতে পারলাম না ধবল বকের পাখায়, কাশের তুলোয় অথবা সংসারের আরো তুচ্ছতর অন্য কোন কাজে।
কবিতা ১
অজস্র কবিতায় খুঁজে শেষমেশ তোমায় গদ্যে পেলাম । অজস্র লাল গোল টিপ আর আয়ত নয়নে খুঁজে তোমায় পেলাম বেলাশেষের প্রগতভানুতে আর ভুট্টা ক্ষেতের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়া টিয়া পাখির দঙ্গলে। কত নাভিমূলে খুঁজে তোমায় পেলাম কত সহস্র ভাঙ্গা ঢেউ এর নীচে শায়িত এই বেলাভূমিতে।