নিমজ্জিত পানকৌড়ি
ডানা ঝাপটা দিলো,
মেঘেরা হেসে ফেললো—ঠিক হলুদাভ আকাশের গায়ে স্কেচ টেনে টেনে
মায়াজাল
দিনরাত্রির দেহখণ্ডে সূর্য মায়াজাল —
সূর্যে অন্ধকার অদৃশ্য, কী অদ্ভুত, দৃশ্য নিঃস্ব !
দিন ফুড়ালে – অসম্ভব সুন্দর, রাত্রিদূত পাখির কন্ঠ।
বুমেরাং
‘ওই হারামজাদিটা কে টেনে বের করতে পারছিস না কেউ তোরা !’ অগ্নিগর্ভ লাল নেশা চোখে , পান চিবোতে চিবোতে পল্টুর দিকে তীব্র ক্ষোভ নিয়ে কথাটা ছুঁড়ে দিলো তেওয়ারী ।
স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন
অৰ্ধ শতক পেরিয়ে যেদিন
দিনগোনা ছিল সাথী
দেওয়া নেওয়ার শর্ত ফেলে
তোমায় প্রথম দেখি।
প্রহসন
“না দিদি দোহাই তোমায়, আমার খোকাকে এত কাছে টানবে না ,তোমার নিঃশ্বাসে বিষ আছে”-কথাগুলো বিশ্রীভাবে বলে হিড়হিড় করে বিট্টুকে টান মারলো পড়শী মিঠু ।খাটে বাপ্পা, বিট্টুর সঙ্গে লুডো খেলছিলো আর করুণা ওদের জন্য সবে সুজির পায়েস চাপিয়েছে।
সিনেমা সিনেমা লাগে
সিনেমা তুমি শুধু কাহিনি নও, তুমি এই আধমরা শ্রমিকদের হাজার খানেক চোখ। যে চোখে সে স্বপ্ন বোনে, এক কল্প রাজ্যে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। আমরা সেই চলচিত্রের কাছে এসেই দাঁড়াই, আমাদের এক স্বপ্নময় জগতে।
ইচ্ছে
ইচ্ছেরা রাতের আকাশে
জ্য়োৎস্না স্নাত ধ্রুবতারা,
ইচ্ছেরা বিপ্লব আনে
নিকোনো উঠোনে,
মনটা আজ ভালো নেই
ইচ্ছেরা রাতের আকাশে
জ্য়োৎস্না স্নাত ধ্রুবতারা,
ইচ্ছেরা বিপ্লব আনে
যাজ্ঞসেনী আর পাঁচজন অশ্বারোহী
জানি,বালুচরে লিখে রাখা নাম
একটু পরেই মুছে যাবে ঢেউ এলে
তবুও তো লিখে রাখি,,
যাজ্ঞসেনী কি আসবে রিইউনিয়নে! আসলে কতদিন পর দেখা হবে বলত !
প্রাপ্তি
সুজয় দিন ১০ হল আমেরিকা থেকে বহুদিন পর নিজের দেশে ফিরেছেন ছেলের সাথে। ফেরার পর থেকেই যেন একটু দুর্বল লাগছে। হতেই পারে। দুই দেশের আবহায়ায় অনেক পার্থক্য।