দেখতে দেখতে কেটে গেল চার চারটে বছর। সুনির্মল ও রঞ্জনার একমাত্র কন্যা দীপশিখাও তার বাবা ও মার জীবনে জ্বালাতে পারল না আনন্দের আলো। স্কুলে ভর্তি থেকে শুরু করে মেয়ের জীবনের কোনো সিদ্ধান্তই না নিতে পারার দুঃখে সুনির্মল তখন কাতর।
কাছে, তবু কত দূরে (প্রথম ভাগ)
বাংলা মাধ্যম স্কুলে পড়ার দরুন মাতৃভাষায় লিখতে বরাবরই ভালোবাসি। তারপর দীর্ঘ ১০ বৎসর ‘সংবাদ প্রতিদিন’এর মতো প্রথম সারির সংবাদপত্রে লেখার কারণে লেখার অভ্যাসটা বজায়ই ছিল। পরবর্তীকালে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতেও কিছু আইন সংক্রান্ত অনুষ্ঠানের চিত্রনাট্য লেখার দরুন ভালবাসাটা বয়ে নিয়ে যেতে পেরেছিলাম।
কল্পান্ত
নিজের ক্রমাগত ব্যর্থ জীবনের
বিবরণী একটা বড় কাগজে
সবিস্তারে লিখে
পঁচিশতলার জানালা দিয়ে ছেড়ে দিই –
কুটিকুটি করে,
দানব দানবীরা
আকাশবাড়িদের মধ্যে হাঁটবার সময়
আধো অন্ধকার। আধো বনেদী আলোয় জাগে
মহার্ঘ্য রোমক শৌধমালা –
আঁধারাতে মাথা নাড়ে বাক্সবাদাম গাছ
একটা পুরোনো হিসেব
ফোনটা একনাগাড়ে বেজে চলেছে, অলোক এখনো বাড়ি ফেরেনি। প্রচন্ড অনিচ্ছা সত্ত্বেও ঈশিতাকে উঠতে হলো। কোনোরকমে ঘুমচোখে হাওয়াই চটিজোড়া পায়ে গলিয়ে শোবার ঘর থেকে বেরিয়ে হলঘরে এসে দাঁড়ালো।
ফোনটা বেজে চলেছে, ঈশিতা তুললো, ‘হ্যালো’ –
পাঁচালি
শুনো শুনো মর্তবাসী শুনো দিয়া মন
Virus তাড়াবার পথ করিব বর্ণন
গোমূত্র পান কারো শনি মঙ্গলবারে
করোনা র আক্রমণ হইবে না তার ঘরে
রোদে পুড়ে ঝাঁঝরা হও পাইবে নিস্তার
গরম পড়লে virus পোকা পাবেনা নিস্তার
যোজনগন্ধা ১
অরণ্য পথে হাঁটতে হাঁটতে
আমি যখন এক একটা গাছের
গল্প বলছিলাম তোমাকে
তুমি তখন শিশিরসিক্ত বীজ
কুড়িয়ে রাখছিলে আঁচলে ।
বলেছিলে নদী ঋতুমতী হলে
বীজ বপন করবে তুমি ।
গল্প একটাই
গার্গী সান্যাল দেখতে ছোটখাটো, ফর্সা। প্রথম দর্শনে মনে হতে পারে গৃহবধূ। নেহাত খুব জোরাজোরি করলে কেউ বলবে ইস্কুল টীচার। নানা হাইস্কুল কোত্থেকে হবে ওই চেহারায়। উনি তো ক্লাসই ম্যানেজ করতে পারবেন না। অতএব প্রাইমারী ইস্কুলের টিচার হলেও হতে পারেন।
কবিতা ২
অনেক ভেবেও এক পংক্তি কবিতা সেই আগের মত হুড়মুড় করে মাথায় এল না;
অনেক ভেবেও নিজেকে আর আগের মত উড়িয়ে দিতে পারলাম না ধবল বকের পাখায়, কাশের তুলোয় অথবা সংসারের আরো তুচ্ছতর অন্য কোন কাজে।
কবিতা ১
অজস্র কবিতায় খুঁজে শেষমেশ তোমায় গদ্যে পেলাম । অজস্র লাল গোল টিপ আর আয়ত নয়নে খুঁজে তোমায় পেলাম বেলাশেষের প্রগতভানুতে আর ভুট্টা ক্ষেতের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়া টিয়া পাখির দঙ্গলে। কত নাভিমূলে খুঁজে তোমায় পেলাম কত সহস্র ভাঙ্গা ঢেউ এর নীচে শায়িত এই বেলাভূমিতে।