চিৎকার করে পড়ছিল না বলে তিতিকে তিতির মা বকছিল | তারপর যেই একটু চুপ করে থেকে, তিতি আবার জোরে জোরে পড়তে শুরু করলো, অমনি বীথি চায়ের জল বসাতে চলে গেল | তিতি বড় ভালো মেয়ে; বীথি বড় ভালো মা | বাবা তখন চুপটি করে বসে থাকে | টিভিটা চালায়ও না | বাবা সিরিয়াল দ্যাখে না | নিউজ দ্যাখে | আজ সেটাও দেখছে না | অফিসে বকুনি খেয়েছে হয়তো ! বাবা আস্তে আস্তে জুতোর ফিতে খোলে, মোজা খোলে, তারপর চেনাশোনা ঘরোয়া বাবা হতে বাথরুমে চলে যায় | বীথি ফিরে আসে, কিন্তু মা হয় না | মিশরের ফারাওদের সময় যে মৃত্যুর দেবতা ওসিরিস ছিলেন, তার আধ হাত লম্বা কালো মূর্তিটার পাশে ফেলে যাওয়া তার মোবাইল ফোনটা তুলে সে কথা বলে | স্নেহপূর্ণ উপদেশ, রিফাইন্ড অশ্লীল মন্তব্য, নতুন কোনো রেসিপি, টিভি সিরিয়াল, এইরকম সবকিছু ঠিক যেমনটি করে বলতে হয়, বীথি সেইভাবে বলে | এইসময় তিতি রোজ বীথিকে লক্ষ্য করে | আওয়াজ করে অবশ্য পরে যেতে হয় তিতিকে | যেইযেই কোয়েশ্চেনগুলোর আনসার তার একেবারে মুখস্ত সেই সেইগুলো সে বলে যায় | তার খুব বুদ্ধি | বীথি সরল; তাই বুঝতেও পারে না |
বাবা অবশ্য বোঝে | ষড়যন্ত্র হচ্ছে ! কর্পোরেট ওয়ার্ল্ডটাই এরকম | বিশেষ করে আইটি ফিল্ড | যতই করো, কেউ দেখবে না ! টেকনিক্যাল কো – অর্ডিনেটর সে হতো | হয়ে গেল নাটা দিব্যেন্দু | কুশলের নয় বছরের অভিজ্ঞতা কোনো কিছু নয় | বীথি শোনে | তিতি শোনে | নীরবতা পালন করে | রাত হয় | টিভি দেখতে বসে তারা | দশটার সময় তিতিকে ঘুমোতে বলা হয় | তারপর … |
অনেকরাতে তারা আবার টিভি দেখতে বসে | অবশেষে কেবলে আবার নীল ছবি দিয়েছে | অনেকদিন বাদে তাদের শরীর কথা বলবে | তারা একে অপরকে উপভোগ করবে | তাদের ভালো লাগবে |