চোখ দুটো ছাড়া কিছু দেওয়ার ছিলো না।
প্রিয়জন চলে গেলো , সময় দিলোনা।
ক্যানসার ছড়িয়েছে বিষ নিঃসাড়ে,
কেমো আর কতদিন আগলাতে পারে,
কষ্টরা আর তার পিছু নিলো না,
চলে গেলো ছেড়ে রেখে এত স্মৃতি লোনা।
সাথী ছিলো সামাজিক, কন্যার মা ও,
ঘর ভরা তার ছোঁয়া, যেইদিকে চাও।
মিলমিশ ছিলো খুব, সেরকমও নয়,
পদে পদে ছিলো সেতু ভাঙবার ভয়,
পঁচিশ বছর জুড়ে একসাথে তাও,
আজ গাঁটছড়া খুলে হলো সে উধাও।
ঝাঁঝরা শরীরে ছিলো চোখ দিয়ে কথা
কখনো দেখায়নি সে কোনখানে ব্যথা
ফুঁড়ে গেছে নিয়মিত সূঁচ চারিদিকে
তবুও ছিলো না ভীতি কেমোথেরাপিকে
যেন এ চিকিৎসায় হাসাটাই প্রথা,
বিষাদ খরচা করা ফালতু অযথা।
যখন নিয়তি আসে হয়ে আততায়ী
আগামীর প্ল্যান হয় দ্রুত ধরাশায়ী
ঢেউহীন যে কোনো দিন এলেবেলে
হঠাৎ নীলচে হয় বিষের ছোবলে,
কালের প্রহরী দিলো সে ভীষণ ঘা-ই,
লড়াই হলোনা আর একরাতও স্থায়ী।
যদিও গিয়েছি হেরে দমকা বিপদে,
বদল হয়নি ফলে লাখ প্রতিরোধে,
তবুও বোধহয় তাকে হারাইনি পুরো
মৃত্যুর মুখে জ্বেলে সবিশেষ নুড়ো,
জীবনের কাছে তার শেষ ঋণ শোধে,
চোখ দুটো দান হলো সামাজিক বোধে।
মরণ বলুক যত এইবারে ফুরো,
কারোর দৃষ্টি হয়ে আছে ছায়ারোদে।