এই দিনটা এখনো কেন মনে আছে যেন,
ভর সন্ধ্যেতে বসে মনে মনে তাই
খানিকটা সাল-তামামি করছিলাম,
ঘুরে ফিরে কয়েকটা কথাই খালি
আসছে আর যাচ্ছে, মাথার চারদিকে
কেমন যেন বেহিসেবি ঘুরপাক খাচ্ছে।
তোমার মনে পরে?
বিকেল-সন্ধ্যা তখন,
আমি যখন তোমাদের বাড়ি গেলাম,
তুমি, মা পারবেনা বলে, গা ধুয়ে
একটা নীল-সাদা ছাপা শাড়ি পড়ে,
কপালে বিন্দু বিন্দু জলের ছিটে,
পিঠ ছাপিয়ে এলো চুল,
লেপ্টে ছিলো কপালেও দু-চারটে,
ঠাকুর ঘরে সন্ধ্যে দিয়ে, দরজা খুলে দিলে।
আমার নজর সরাতে পারছিলাম না;
পেছনটা একবার দেখে, তুমি মৃদু হাসলে,
বললে ‘হাঁ করে থাকার কি আছে?
ঘরে গিয়ে বসো, চা নিয়ে আসছি’।
নিবিড়ে মিস্টি কিছু ভাবছিলাম,
যখন তুমি ঘরে এলে দুকাপ চা নিয়ে।
এবারে হাসিঝড়া স্নিগ্ধ মুখটা মোছা,
পরিপাটি শাড়িতে জড়ানো শরীর,
আলগা একটি খোপা, আলতো কাজল;
বিক্ষিপ্ত মন, সম্ভাবনায় ভরপুর।
তারপরে গল্প করতে ছাদে গিয়ে,
স্বজন এড়াতে অন্য কোণেতে,
নিজেদের মধ্যে
অজানা কোন অনুভুতিতে
হারিয়ে গেলাম, ক্ষনিকের জন্যই,
তুমি, আমি, দুজনেই।
সেটা ছিল আটাশে এপ্রিল।
প্রথম পদক্ষেপ,
তাই মনে আছে এখনো,
আবছা নয়, সজাগ হয়ে।