আগের চিঠিতে তুমি জানতে চেয়েছ, এখানে বর্ষা এসেছে কিনা । হ্যাঁ, রাশি রাশি মেঘে ভেলায় বর্ষা আমার আঙিনায় সমাতীর্ণ । স্তরে স্তরে পাহাড়ের খাঁজে মেঘের দোলা আমায় কোথায় ভাসিয়ে নিয়ে চলে । গহন রাত্রির মাঝ আকাশে বৃষ্টির ফোঁটা আমায় যখন অস্ফুটে ডেকে নিয়ে চলে, তোমার আঁচলে আমি ভিজি — এক অপূর্ব উষ্ণতা আমায় ঢেকে দেয় । তোমার গায়ের সুঘ্রাণ আমাকে মোহিত করে রাখে । বর্ষার সমস্ত ফুল তোমার সারা অঙ্গে — আমাকে একাত্ম করে রাখে । ওগো মেঘবালিকা আরো কেন ঘন হও না !
—– ইতি সুমন ।
______________========__________________
সুমন,
বর্ষা এই হৃদয়েও নেমেছে । বিশাল নীল আকাশের বুকে মেঘ হয়ে ভেসে থাকতে থাকতে কখন যে বৃষ্টি হয়ে ঝ’রে পড়ি বুঝতেই পারি না । স্তরে স্তরে বিস্তীর্ণ বিশাল পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে তখন প্রাণপণে মেলে ধরি নিজেকে । নিস্তব্ধ নিঝুম মধ্য রাতে যখন বৃষ্টি নামে , যখন জানলা থেকে বৃষ্টির ফোঁটা আমার ঘুম ভাঙায় তখন গানের অনুরনন আমাকে শিহরণ জাগায় — “….. মত্ত দাদুরি, ডাকে ডাহুকি ফাটি যাওত ছাতিয়া ” । তারপর সারা রাত যখন বৃষ্টির গন্ধ মাখি তখন কেবল তোমার হৃদয়ের গন্ধই আমাকে উন্মনা করে রাখে ।