বছরের পর বছরের এভাবে প্রশ্নহীন হয়ে আছি । আমি তো জানতে চাই নি তোমার ভাষা কি? কিংবা তোমার নাম? তোমার ঠিকানা? তুমিও প্রশ্ন না করে দিনের পর দিন আছো নক্ষত্রের আলো নিয়ে। একবার বাতাসের ঠিকানা নিয়ে খুঁজেছি কতকাল। বাতাস বলল এভাবে কি খোঁজা যায়! আমার সঙ্গে চলো। চালচুলো নেই, তাই সঙ্গি হলাম বাতাসের। সে উড়িয়ে নি গেল আমাকে। তারপর নদী পেরিয়ে সে নিয়ে গেল এক মোবাইল টাওয়ার এর ওপর । ভালো করে বসতে না বসতেই সারা পৃথিবীর কত যে ভাষা সে আমাকে শুনিয়ে দিল। কত স্বপ্ন, প্রেম, বিচ্ছেদ, আশা- নিরাশা, হাসি-কান্না, মরচে পরা অপেক্ষার দীর্ঘশ্বাস। এইসব আর কি ।
সেইসব কথায় কোন উত্তর ছিল না ।
শুধু একের পর এক প্রশ্ন!
তারপর থেকে আমি জেনেছি প্রশ্ন করা মানে, উত্তরের অজস্র ঠিকানা। ঠিক উত্তরের পথ হয়ত কঠিন অথবা সহজ। কিংবা ভুল উত্তরের পথটাই কঠিন সাজানো অথবা সহজ। এতসব জটিলতায় গিয়ে কাজ নেই। তার চেয়ে প্রশ্নগুলো বয়ে বেরানো ভালো। প্রশ্নের ফর্দ নিয়ে ঘুরে বেড়ানো খুব কি কঠিন? একদিন বাতাস বা বাতাসের মতন কেউ বলবে তোমার সব প্রশ্নগুলোও আমার জানা। তারপর বাতাসই আমার প্রশ্ন ছড়িয়ে দেবে।আমি নির্ঘাত চিনতে পারব না প্রশ্নগুলোকে। সেগুলো কি আমারই? আমারই পোশাক পরে? কি আশ্চর্য উত্তরগুলো, উত্তরগুলো কার প্রশ্নের জবাব তা জানা যাবে না কোনদিন ।
তার চেয়ে চলো আর একবার চড়াই ভেঙে বাতাসের ঠিকানা খুঁজি।