মানব-অবয়বের আবরণে,
আমার অন্তরাত্মা সৃজীত হয়েছিল মানবী রূপেই।
সৃজনকর্তার হয়ত ছিল
কোনো সুপ্ত বাসনা!
একতারা
কমলা রঙের সাজানো বাউলের বেশ নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে কৃষ্ণদাস বাউল। কৃষ্ণদাসের সাজগোজ দেখে বোষ্টুমি কৃষ্ণদাসী এগিয়ে আসে–“এই সাত সকালে কোতায় বেরুচ্চো?”
হাওয়া বদল
এই আপু , শোনো যা মজার কাণ্ড হয়েছে। এইটুকু বলে নিশাত হো হো করে হেসে গড়িয়ে পড়ল। আমি বিরক্তি চেপে বললাম , কি হয়েছে সেটা বল।
নিঃশব্দরা কথা বলে
কান পেতে কোনোদিন শুনেছো-
তন্দ্রাহারা রাতে আনমনে শুয়ে শুয়ে
কিংবা খোলা জানলার গরাদে হাত রেখে
জ্যোৎস্নাস্নাত সামনের শালবনের দিকে চেয়ে
মুরোদ
‘এত অবুঝ তুমি,
কেন!’
নিমগ্ন অনুভবের সাঁতার
নিমজ্জিত পানকৌড়ি
ডানা ঝাপটা দিলো,
মেঘেরা হেসে ফেললো—ঠিক হলুদাভ আকাশের গায়ে স্কেচ টেনে টেনে
মায়াজাল
দিনরাত্রির দেহখণ্ডে সূর্য মায়াজাল —
সূর্যে অন্ধকার অদৃশ্য, কী অদ্ভুত, দৃশ্য নিঃস্ব !
দিন ফুড়ালে – অসম্ভব সুন্দর, রাত্রিদূত পাখির কন্ঠ।
বুমেরাং
‘ওই হারামজাদিটা কে টেনে বের করতে পারছিস না কেউ তোরা !’ অগ্নিগর্ভ লাল নেশা চোখে , পান চিবোতে চিবোতে পল্টুর দিকে তীব্র ক্ষোভ নিয়ে কথাটা ছুঁড়ে দিলো তেওয়ারী ।