রীনা,
আগের চিঠিতে তুমি জানতে চেয়েছ, এখানে বর্ষা এসেছে কিনা । হ্যাঁ, রাশি রাশি মেঘে ভেলায় বর্ষা আমার আঙিনায় সমাতীর্ণ ।
বৃষ্টি দিনের ছড়া
ভোরের থেকে বৃষ্টি পড়ে, পড়ে টাপুর টুপ্
বৃষ্টি পেয়ে গাছেরা সব ভিজছে মজায়, চুপ!
সূর্য আজ উঠলো নাকো আবছা অন্ধকারে,
বৃষ্টি ঝরে ফিস্ ফিসিয়ে কিংবা মুষলধারে!
ফাঁসির পরে
–” উঃ কষ্ট। ফাঁসির দড়িটা যখন গলায় চেপে বসল জিভটা আপনা থেকেই বেরিয়ে এলো। যন্ত্রণায় চিৎকার করে উঠতে গেলাম–
–” মা মাগো খুব কষ্ট । ” না মা এগিয়ে এলো না ঠিক আগের মতো।
আমার মধুমতী
আমার হৃদয় খুঁড়লে একটা মধুমতী পাবে,
যার চরাচর জুড়ে পাখির আনাগোনা।
আমার প্রার্থনায় সে নদী বাস করে,
পাশে বসে, কানে কানে শুনিয়ে যায় বাদলা দিনের ঝমঝম সুর।
মায়ের জন্মদিন
কাপ ডিশগুলো ধুয়ে রাখতে গিয়ে মনে পড়ল আজ আমার মায়ের জন্মদিন | মা কোনদিন এইসব দিনগুলোকে অনেক লোক ডাকার উপলক্ষ্য হয়ে উঠতে দিতো না |
একটা ইচ্ছা, দুটো মৃত্যু আর কিছু খুচরো স্বপ্ন (তৃতীয় ও অন্তিম পর্ব)
এর পরের দুদিন রাখী আর স্কুলে গেল না। সারাদিন বাড়িতে রইল দুটি নির্বাক প্রাণী আর মীরা রোডের তিন তালার দু কামরার ফ্ল্যাট ঢেকে রইল উনুনের ধোঁয়ায় নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসার মত একটা অস্বস্তি আর গাঢ় নৈঃশব্দে।
একটা ইচ্ছা, দুটো মৃত্যু আর কিছু খুচরো স্বপ্ন (দ্বিতীয় পর্ব)
মুম্বাইতে উমেশ ভাটের মত বড় মাপের প্রযোজকের ব্যানারেও বানীর হিন্দী ছবি একদম চলল না। খুব ঝড়তি দু একটা ফিল্ম ফেস্টিভেলে গেলেও কোন বড়সড় আঁচর ওই ছবি জনমানসে বা চিত্র সমালোচকদের হৃদয়ে কাটতে পারল না।