বিকেলবেলায় নতুন রহস্যগল্পটা নিয়ে বসেছি, মা অফিস থেকে ফিরে ধমক দিয়ে বললেন, “সবসময় কি বই মুখে করে থাকিস বল তো। বড্ড একা একা স্বভাব তোর ।
রবীন্দ্রনাথ
নাকের উৎরাই বেয়ে নেমে
আসে ঘামজল,
কাকের বিশ্রী ডাকে
ভাটা পড়েছে অনেককাল
ঝাড়বাতি
ঝুলছি এখনো আমি, যদিও প্রয়োজনে নেই আর,
হাওয়ার দমক থেকে থেকে এসে দোলায় আমার ঝাড়।
জিজ্ঞাসা
এক সহস্র বসন্ত আগে
আমার বুকের হাড়গুলোকে বহু যত্নে ভেঙে
তুমি দিয়েছিলে।
দুটি শ্বেত মোলায়েম মাংসপিন্ড
গাধা
রেললাইনের ধার। ঘাসের মধ্যে এক রকম ফুল গজিয়েছে। লাল আর সাদা। ছোট, ছোট – অসংখ্য। একটা লম্বা ঘাসের ডগায় একটা ফড়িং এসে বসেছে – থরথর করে কাঁপছে তার ডানা।
ভাইরাস
মেঘলা আকাশ, ভেজা ভেজা চারপাশ আর ভাইরাস, সব কিছুর কেমন একটা আলগা যোগসূত্র আছে। ঝকঝকে রোদ ভরা দিনে এমনিই সব ভালো লাগে, আত্ম্যপ্রত্যয় টইটুম্বুর থাকে, বিশ্বাস অটল।
বিশ্বাসে মিলায় মানুষ
আমেরিকাতে কাজের লোক রাখা চাট্টিখানি কথা না, কারণ এদেশে আইন হলো বিভিন্ন রাজ্যের ন্যূনতম মজুরি মেনে তাদের যথাযথভাবে বেতন দিতে হবে। ঘর পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে তাদের দর আবার অনেকটাই বেশি।
এলোমেলো দিন
যত্নে রেখেছি সুখের চাবিকাঠি
লুকোনো স্মৃতির জং ধরা তালাটি
ইচ্ছে হলেই তলিয়ে যাওয়া টুক
ডুব সাঁতারে ভালোলাগা এক বুক।
যোজনগন্ধা ৩
আমি তোমাকে ঘেন্না করি
এই বলে ঘেন্নার ঘ্রাণ নিয়ে
অরণ্য গভীরে চলেগেল যোজনগন্ধা,
আমি আজও কস্তুরি গন্ধে মেতে উঠি।
যোজনগন্ধা ২
এই কি সেই ছাতিম গাছ ?
এরই নিচে তোমার আমার প্রথম সাক্ষাৎ
ছাতিমের উগ্রতা আমাদের পছন্দ নয়
তাই দূরে সরে এসে খেজুর গাছের তলায়
তোমার কস্তুরি ঘ্রাণ
আর মিহি ছাতিমের গন্ধ